তলে তলে চলে | Tshirt

670৳ 

টিশার্ট একটি জনপ্রিয় এবং আরামদায়ক পোশাক। টিশার্টের অনেক উপকারিতা রয়েছে, যার কারণে এটি বিশ্বব্যাপী এত জনপ্রিয়। টিশার্ট সাধারণত নরম এবং হালকা কাপড় (যেমন সুতি, কটন) দিয়ে তৈরি হয়, যা পরতে খুব আরামদায়ক। এটি ত্বকের জন্যও বেশ সহনশীল। টিশার্ট সহজেই পরা যায় এবং এর জন্য বিশেষ কোনো প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় না। এটি ধোয়া ও শুকানোও বেশ সহজ, এবং সাধারণত ইস্ত্রি করারও তেমন প্রয়োজন পড়ে না।

১। টিশার্ট গুলার প্রাইস বেশি হওয়ার কারণ

এটি ১০০% কটন কাপড় দ্বারা তৈরিকৃত। যা খুবই আরামদায়ক ও আকর্ষণীয়।

 

কাপড় কেনার সময় “জিএসএম” শব্দটি নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় পড়েন। একটি সাধারণ ধারণা প্রচলিত আছে যে, জিএসএম বেশি হলেই বুঝি কাপড়ের মান ভালো হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই ধারণাটি পুরোপুরি সঠিক নয়।

জিএসএম (GSM) এর পূর্ণরূপ হলো “গ্রামস পার স্কয়ার মিটার” (Grams per Square Meter), অর্থাৎ প্রতি বর্গমিটারে কাপড়ের ওজন কত গ্রাম। সহজ ভাষায়, এটি কাপড়ের পুরুত্ব বা ঘনত্বের একটি পরিমাপক। জিএসএম যত বেশি হবে, কাপড় ততটা ঘন ও ভারী হবে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ১৮০ জিএসএম-এর টি-শার্ট স্বাভাবিকভাবেই একটি ১৩০ জিএসএম-এর টি-শার্টের চেয়ে বেশি মোটা এবং ওজনে ভারী হবে।

অনেকের মধ্যেই একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে, ১৮০ জিএসএম বা তার বেশি মানেই কাপড়টি প্রিমিয়াম কোয়ালিটির। এটি মোটেও ঠিক নয়। একটি পণ্যের “প্রিমিয়াম” হওয়া নির্ভর করে মূলত ব্যবহৃত উপকরণের (ম্যাটেরিয়ালস) গুণগত মান এবং সেলাই ও অন্যান্য কাজের ফিনিশিং বা নিপুণতার উপর। আসল বিষয় হলো, ব্যবহারের উদ্দেশ্য ও প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক জিএসএম-এর কাপড় নির্বাচন করা।

জামাকাপড় বাছাই করার ক্ষেত্রে জিএসএম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কারণ এটি পোশাকটি পরতে কেমন লাগবে, তার স্থায়িত্ব কেমন হবে এবং এটি কতটা আরামদায়ক হবে তা নির্ধারণ করে। যেমন, বেশি জিএসএম-এর বা ভারী কাপড় সাধারণত বেশি উষ্ণতা দেয় এবং টেকসই হয়। অন্যদিকে, হালকা বা কম জিএসএম-এর কাপড় বেশি শ্বাসপ্রশ্বাসযোগ্য (breathable) হয় এবং গরমে পরার জন্য আরামদায়ক।

সুতরাং, পরেরবার কাপড় কেনার সময় শুধু জিএসএম-এর উপর নির্ভর না করে, কাপড়ের উপকরণ, সেলাই, ফিনিশিং এবং আপনার প্রয়োজন ও আরামের দিকটিও বিবেচনা করুন।

সাধারণ ধারণা-

৫.১-৫.৫ ফিট উচ্চতার পুরুষদের জন্য সাধারণত এই সাইজগুলো প্রযোজ্য হতে পারে:

যদি শারীরিক গঠন পাতলা বা স্লিম হয়: S (স্মল) সাইজটি ভালো ফিট হতে পারে।

যদি শারীরিক গঠন মাঝারি বা গড় হয়: M (মিডিয়াম) সাইজটি উপযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদি শারীরিক গঠন একটু স্বাস্থ্যবান বা কাঁধ চওড়া হয়,

অথবা যদি আপনি একটু ঢিলেঢালা টি-শার্ট পরতে পছন্দ করেন: সেক্ষেত্রে M (মিডিয়াম) সাইজটি টাইট হতে পারে এবং L (লার্জ) সাইজের প্রয়োজন হতে পারে। তবে L সাইজটি এই উচ্চতায় একটু লম্বা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে যদি না শারীরিক গঠন বেশ স্বাস্থ্যবান হয়। ৫.৬-৫.৯ ফিট উচ্চতার পুরুষদের জন্য টি-শার্টের সাইজ সাধারণত M (মিডিয়াম) অথবা L (লার্জ) হয়ে থাকে। তবে এটি মূলত নির্ভর করে ব্যক্তির শারীরিক গঠন, বুকের মাপ, কাঁধের চওড়া এবং তিনি কেমন ফিটিং পছন্দ করেন তার উপর।

যদি শারীরিক গঠন মাঝারি বা গড় (average) হয় এবং আপনি রেগুলার ফিট পছন্দ করেন: তাহলে M (মিডিয়াম) সাইজটি ভালো ফিট হতে পারে। যদি আপনার শারীরিক গঠন একটু স্বাস্থ্যবান বা কাঁধ চওড়া হয়,

অথবা আপনি একটু ঢিলেঢালা (relaxed/loose fit) টি-শার্ট পরতে পছন্দ করেন: সেক্ষেত্রে L (লার্জ) সাইজটি উপযুক্ত হতে পারে। যদি আপনি খুব স্লিম বা পাতলা হন: তাহলে M (মিডিয়াম) সাইজটিও কিছুটা ঢিলে হতে পারে এবং কিছু ব্র্যান্ডের S (স্মল) সাইজ (যদি তা লম্বায় ঠিক থাকে) ভালো লাগতে পারে, তবে M বেশি প্রচলিত।

আপনার জন্য সঠিক সাইজের টি-শার্ট কোনটি হবে, তা সঠিকভাবে বলতে গেলে আপনার শরীরের মাপ জানা প্রয়োজন। যেহেতু আমি আপনার মাপ জানি না, তাই সরাসরি কোনো নির্দিষ্ট সাইজ বলতে পারছি না। তবে, সঠিক সাইজ খুঁজে বের করার জন্য আপনি নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন:

১. বুকের মাপ (Chest Measurement): আপনার বুকের মাপ (ইঞ্চিতে) জেনে নিন।

২. ব্র্যান্ডের সাইজ চার্ট (Brand’s Size Chart): আপনি যে ব্র্যান্ডের টি-শার্ট কিনছেন, তাদের নিজস্ব সাইজ চার্ট দেখে নিন। সেখানে বুকের মাপের সাথে মিলিয়ে সঠিক সাইজ (S, M, L) বেছে নিতে পারবেন।

 

সাধারণত, একটি গড় হিসাব: S (স্মল): বুকের মাপ প্রায় ৩৪-৩৬ ইঞ্চি M (মিডিয়াম): বুকের মাপ প্রায় ৩৮-৪০ ইঞ্চি L (লার্জ): বুকের মাপ প্রায় ৪২-৪৪ ইঞ্চি

কালো নাকি সাদা টি-শার্ট নেবেন, এটা সম্পূর্ণই আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ, প্রয়োজন এবং উপলক্ষের উপর নির্ভর করে। দুটো রঙেরই নিজস্ব সুবিধা এবং আকর্ষণ রয়েছে। আসুন, দুটি রঙের টি-শার্টের কিছু দিক বিবেচনা করা যাক-

সাদা টি-শার্ট সুবিধা:

সতেজ ও উজ্জ্বল ভাব: সাদা রঙ একটি পরিষ্কার, সতেজ এবং উজ্জ্বল লুক দেয়।

গরমে আরামদায়ক: সাদা রঙ তাপ শোষণ করে কম, তাই গরমের জন্য খুবই আরামদায়ক।

ভার্সেটাইল: জিন্স, শর্টস, চিনোস, ব্লেজারের নিচে – প্রায় সবকিছুর সাথেই সহজে মানিয়ে যায়।

লেয়ারিংয়ের জন্য দারুণ: অন্য কোনও শার্ট বা জ্যাকেটের নিচে পরার জন্য সাদা টি-শার্ট খুব ভালো।

সাদা টি-শার্ট অসুবিধা:

সহজে ময়লা হয়: সাদা রঙে খুব দ্রুত দাগ বা ময়লা লাগতে পারে এবং তা স্পষ্ট দেখা যায়।

যত্ন বেশি নিতে হয়: দাগ লাগলে তা তোলা কঠিন হতে পারে।

কিছুটা স্বচ্ছ (See-through) হতে পারে: কাপড়ের মান খুব ভালো না হলে সাদা টি-শার্ট কিছুটা স্বচ্ছ হতে পারে।

 

কালো টি-শার্ট সুবিধা:

মার্জিত ও স্মার্ট লুক: কালো রঙ একটি ক্লাসিক, মার্জিত এবং স্মার্ট লুক দেয়। স্লিম দেখায়: কালো রঙ পরলে কিছুটা স্লিম দেখায়।

দাগ কম বোঝা যায়: হালকা বা ছোটখাটো দাগ কালো রঙে সহজে বোঝা যায় না। বিভিন্ন উপলক্ষ্যে মানানসই: ক্যাজুয়াল থেকে শুরু করে একটু সেমি-ফর্মাল লুকেও কালো টি-শার্ট পরা যায় (যেমন, ব্লেজারের সাথে)।

কালো টি-শার্ট অসুবিধা:

গরমে অস্বস্তিকর হতে পারে: কালো রঙ তাপ বেশি শোষণ করে, তাই গরমে কিছুটা অস্বস্তিকর লাগতে পারে।

রঙ ফ্যাকাসে (Fade) হতে পারে: বারবার ধোয়ার ফলে কালো রঙ ধীরে ধীরে ফ্যাকাসে হয়ে যেতে পারে। ধুলোবালি বা সাদা দাগ (যেমন ডিওডোরেন্টের দাগ) বেশি দেখা যায়।

গরমের জন্য এবং প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য: সাদা টি-শার্ট বেশি কার্যকরী হতে পারে। একটি স্মার্ট, ভার্সেটাইল এবং

কিছুটা কম যত্নের পোশাকের জন্য: কালো টি-শার্ট ভালো পছন্দ।

ইসলামে সাদা পোশাকের বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। এটি পবিত্রতা, পরিচ্ছন্নতা ও সরলতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নিজে সাদা পোশাক পরিধান করতে পছন্দ করতেন এবং তাঁর উম্মতকেও সাদা পোশাক পরার জন্য উৎসাহিত করেছেন।

একটি প্রসিদ্ধ হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: “তোমরা সাদা কাপড় পরিধান কর, কেননা তা তোমাদের সর্বোত্তম পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। আর তোমরা তোমাদের মৃতদেরও সাদা কাপড় দ্বারা কাফন দাও।” (তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ 

সাদা পোশাকের গুরুত্বের কিছু কারণ:

১. পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা: সাদা রঙ পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার অনুভূতি জাগায়। এতে ময়লা লাগলে সহজে চোখে পড়ে, ফলে পোশাক পরিষ্কার রাখার প্রতি সচেতনতা তৈরি হয়।

২. সরলতা ও বিনয়: সাদা পোশাক আড়ম্বরহীনতা ও বিনয়ের প্রকাশ ঘটায়।

৩. রাসূল (সাঃ)-এর সুন্নাহ اتباع: সাদা পোশাক পরিধান করা রাসূল (সাঃ)-এর একটি সুন্নাহ (অনুসরণীয় আদর্শ)।

৪. ফেরেশতাদের পোশাক: কিছু বর্ণনায় ফেরেশতাদের পোশাক সাদা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

৫. মানসিক প্রশান্তি: সাদা রঙ চোখের জন্য আরামদায়ক এবং মানসিক প্রশান্তি আনতে সহায়ক।

৬. ইহরামের পোশাক: হজ্ব ও উমরার সময় ইহরামের জন্য যে পোশাক পরিধান করা হয়, তা সাধারণত সেলাইবিহীন সাদা কাপড় হয়ে থাকে।

বিশেষ করে জুমার নামাজ, ঈদের নামাজ এবং অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মুসলমান পুরুষদের মধ্যে সাদা পোশাক (যেমন পাঞ্জাবি, টুপি) পরিধানের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, ইসলামে সাদা পোশাক পরা বাধ্যতামূলক (ফরজ) নয়, বরং এটি মুস্তাহাব বা উত্তম কাজ হিসেবে বিবেচিত। অন্যান্য রঙের পরিচ্ছন্ন ও শালীন পোশাক পরিধান করাও ইসলামে সম্পূর্ণ জায়েজ, যতক্ষণ পর্যন্ত না তা অহংকার বা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে অথবা অমুসলিমদের ধর্মীয় প্রতীক সম্বলিত হয়।

সুতরাং, সাদা পোশাক ইসলামের দৃষ্টিতে একটি প্রশংসনীয় ও পছন্দের পোশাক, যা পবিত্রতা ও নবীর অনুসরণের সাথে জড়িত।