Ator

200৳ 

সুগন্ধি মনকে শান্ত ও স্থির করতে সাহায্য করে, যা ইবাদতে, বিশেষ করে নামাজে মনোযোগ বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। সুগন্ধি ব্যবহারকারী ব্যক্তির প্রতি অন্যদের মনে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয় এবং পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নেও এটি ভূমিকা রাখে।শরীরের দুর্গন্ধ দূর করে নিজেকে পরিচ্ছন্নভাবে উপস্থাপন করা একটি সামাজিক শিষ্টাচার।

১। আতরের বিষসত্ব কি?

আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মধ্যে ঘ্রাণশক্তি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। কখনো কখনো আপনার শরীর থেকে আসা মিষ্টি কোনো সুবাসই কারো মনে আপনার জন্য বিশেষ ভালো লাগা তৈরি করে।

প্রথম আতর দেওয়া সুন্নাত। রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে কেউ সুগন্ধিযুক্ত কোনো বস্তু হাদিয়া দিলে তিনি তা ফেরত দিতেন না।

সুন্দর পোশাক যেমন আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, তেমনি ভালো মানের সুগন্ধিও একজন মানুষের ব্যক্তিত্বে আনে দৃঢ়তা। শরীরের দুর্গন্ধের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত রেখে এটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহায্য করে। মূলত, শরীরের দুর্গন্ধ দূর করে একটি মনোরম আবেশ তৈরি করাই সুগন্ধি ব্যবহারের উদ্দেশ্য।

প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সুগন্ধির প্রতি ছিল গভীর অনুরাগ। তাঁর শরীর মোবারক থেকে এমনিতেই সুবাস নির্গত হতো, এবং তিনি সুগন্ধি ব্যবহার করতেও অত্যন্ত ভালোবাসতেন।
 
বর্ণিত আছে, তিনি কোনো পথ দিয়ে হেঁটে গেলে তাঁর সুগন্ধ এতটাই ছড়িয়ে পড়ত যে, পরবর্তী সময়ে মানুষজন সহজেই বুঝতে পারত, নবী করিম (সাঃ) এই পথ দিয়ে অতিক্রম করেছেন।
 
এ প্রসঙ্গে হযরত আনাস (রাঃ) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, মহানবী (সাঃ) ইরশাদ করেছেন: “তোমাদের দুনিয়ার বস্তুসমূহের মধ্য থেকে আমার কাছে তিনটি জিনিস অধিক প্রিয় করা হয়েছে— নারী, সুগন্ধি, আর আমার চোখের প্রশান্তি নামাজের মধ্যে রাখা হয়েছে।

স্ত্রীর মন জয় করতে এবং পারস্পরিক আকর্ষণ বাড়াতে স্বামীর জন্য আতর ব্যবহার করা একটি উত্তম পন্থা। বস্তুত, আতরের মন মাতানো সুবাস স্বামী-স্ত্রীর প্রেমের সাগরে যেন নতুন প্রাণের সঞ্চার করে, তাদের ভালোবাসাকে আরও নিবিড় ও মধুর করে তোলে।

রাসুলুল্লাহ সাঃ এর একটি সুন্নাহ হিশেবে ব্যবহার করুন। এটার জন্য আমলের উপকার হবে ইনশাআল্লাহ। এছাড়াও আতর দিলে মন প্রফুল্ল থাকে।

জ্বি, এটি অ্যালকোহল মুক্ত। আলকোহোল ইসলামে হারাম। তাই নামাজের সময় আপনি নির্দ্বিধায় ব্যবহার করতে পারবেন।