খেজুর | Khejur

2,200৳ 

খেজুর একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল এবং এর স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।

20 in stock

১। দ্রুত শক্তি যোগায়

খেজুর প্রাকৃতিক চিনি (গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ) সমৃদ্ধ, যা শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে। তাই রোজা ভাঙার সময় বা দুর্বল লাগলে খেজুর খাওয়া উপকারী।

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি পেট ভরা রাখতেও সাহায্য করে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়া কমে।

খেজুরে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ থাকে।

* পটাশিয়াম: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

* ম্যাগনেসিয়াম: হাড়ের স্বাস্থ্য এবং পেশীর কার্যকারিতার জন্য জরুরি।

* আয়রন: রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

* ক্যালসিয়াম: হাড় ও দাঁতের জন্য ভালো।

খেজুরে ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড এবং ফেনোলিক অ্যাসিডের মতো বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো কোষকে ফ্রি র‍্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগ (যেমন হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস) প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।

কিছু গবেষণা অনুযায়ী, খেজুর মস্তিষ্কের প্রদাহ কমাতে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, যা অ্যালঝাইমার রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।

আয়রনের ভালো উৎস হওয়ায় খেজুর খেলে শরীরে লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন বাড়ে এবং অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

গর্ভবতী মহিলারা প্রসবের কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে নিয়মিত খেজুর খেলে তা স্বাভাবিক প্রসবের জন্য সহায়ক হতে পারে এবং প্রসবের সময়কাল কমাতে পারে বলে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে।

পরিমিত পরিমাণে খেলে ফাইবার পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হয়।

খেজুরে প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ বেশ বেশি থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের পরিমিত পরিমাণে খেজুর খাওয়া উচিত এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো।